সরিষাবাড়ী আওয়ামী লীগ
শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৭ পিএম
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি।
সম্মেলনের দীর্ঘ ১০ মাস পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন এ কমিটিতেও ঠায় হয়নি আলোচিত সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। তা ছাড়া নতুন এই কমিটিতে মুরাদ হাসানের নাম না থাকায় হতাশ তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর এক জরুরি সভায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সরিষাবাড়ী অনার্স কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক বাবু অসীম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সভাপতি পদে ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক পদে তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস অতিবাহিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। ফলে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। অবশেষে গত ৩ আগস্ট রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ্রের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে মো. আব্দুল গণি, পৌরসভার মেয়র মনির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, সরিষাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সরোয়ার জাহান, আবুল হোসেন, আনিছুর রহমান, একেএম আনিছুর রহমান, মো. আনোয়ারুল কবীর, যুগ্ম সম্পাদক পদে কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জহুরুল ইসলাম ও খোরশেদ আলমের নাম ঘোষণা করা হয়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন শিবলু প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি (মুরাদ হাসান) কেন্দ্রের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে এখনও ক্ষমা করেছেন কি না, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। শুনেছি এই কমিটি নিয়ে মুরাদ হাসান জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। একজন এমপি হয়ে কীভাবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নিয়ে মন্তব্য করেন, সে বিষয়েও কেন্দ্রের কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগকে গতিশীল করতে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে বিতর্কের কোনো স্থান নেই।