বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
ঝালকাঠি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৩:২১ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৩:২৪ পিএম
ঝালকাঠিতে শনিবার সকালে যাত্রীবাহী বাস উল্টে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হন। সংগৃহীত ফটো
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাস দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (২৩ জুলাই) রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশ বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলাটি করেছে। এতে আসামি করা হয়েছে দুর্ঘটনার শিকার বাসচালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজারকে। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার।
আসামিরা হলেন, দুর্ঘটনার শিকার বাসচালক ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোহন, তার সহকারী বরগুনার বাসিন্দা মো. আশিক ওরফে বুলেট ও বাসের সুপারভাইজার ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা মিজান।
ওসি নাসির উদ্দিন জানান, মামলাটি করেছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শুশঙ্কর মল্লিক। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কেউ মামলা করতে রাজি হয়নি। তাই পরে পুলিশের পক্ষে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮/১০৫ ধারায় মামলা করা হলো। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।
শনিবার সকালে ভাণ্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে ঝালকাঠির গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ছত্রকান্দা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে গিয়ে ১৭ জন নিহত হন। এর মধ্যে ৮ জন নারী, ৬ জন পুরুষ ও ৩ শিশু রয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রশাসনের পর ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রবিবার মালিক সমিতির গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের সমন্বয়ে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছি। প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সঙ্গে এর কোনো যোগসূত্র নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে কখনও ঝালকাঠির বাস মালিক সমিতির কোনো গাড়ি এত বড় দুর্ঘটনায় শিকার হয়নি। অবশ্যই এর পেছনে কোনো যুক্তিসংগত কারণ আছে। যা আমাদের চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে। এখানে চালক মোহনের ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা না ভারি যানের জন্য, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ হালকা যানের লাইসেন্স থাকলে এসব রুটে ভারি যান চালানোর সুযোগ নেই। যেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’