কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
নিহত তারেক হোসেন। ছবি : প্রবা
ওমান যাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তারেক হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার ছিল তার চাকরিতে যোগদানের প্রথম দিন। এদিন দুপুরে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দেশটির ইব্রি শহরে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। তারেক লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়নের কাদিরপণ্ডিতের হাট এলাকার তোফায়েল আহম্মদের ছেলে। গত সোমবার ওমান যান তিনি।
তারেকের ছোট ভাই মুরাদ হোসেন রবিবার (২৩ জুলাই) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ইব্রি শহরের একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজের ভিসা নিয়ে মাত্র পাঁচ দিন আগে ওমান যান তার বড় ভাই তারেক হোসেন। কাজে যোগদান করার আগে দেশটির হায়মা নামক এলাকায় চার বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে বাসায় ওঠেন তিনি। শনিবার তিনি প্রথম কর্মস্থলে যোগ দেন। ভাইয়ের রুমমেটদের একজন তাকে (মুরাদ) ফোন করে জানান, বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তারেক অজ্ঞান হয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মুরাদ হোসেন আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে আমি খবর নিয়ে জানতে পারি তারেকের মৃত্যুটি ছিল রহস্যজনক। যে কারণে স্থানীয় পুলিশ তারেকের লাশ থানায় নেওয়ার পাশাপাশি ওই চার যুবককেও আটক করেছে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুই বাংলাদেশি যুবককে আটক করে। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তারেকের ময়নাতদন্তসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিবারের অভাব ঘোচাতে স্থানীয় এনজিও থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে এক প্রতিবেশীর দেওয়া ভিসায় ওমান পাড়ি দেন তারেক। পরিবারে তার স্ত্রী ও তানজু নামে ছয় বছরের কন্যাশিশুসহ বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছে। তার এ আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকে মুহ্যমান পুরো পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাতেও।