আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৩ ০০:৫৮ এএম
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সারের গুদাম থেকে ৯৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন সার চুরির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। চুরির দায়ে গুদামরক্ষক ও বিএডিসির উপসহকারী পরিচালক জসিউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদের নির্দেশে সচিব মো. আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। চেয়ারম্যানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএডিসির বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. কাজেম আলী বলেন, ঘটনা তদন্তে বিএডিসির উপপ্রধান (পরিকল্পনা) পরিচালক জামাল উদ্দীন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মঈনুল ইসলামকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
সরেজমিনে গুদামে গিয়ে জানা গেছে, জসিউর রহমানের বিরুদ্ধে গুদাম থেকে বিভিন্ন সময়ে ভুয়া চালানের মাধ্যমে ১৮.৩০০ টন ডাই আ্যমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি), ৪৪.১০০ টন মিউরেট অপ পটাশ (এমওপি) ও ৩১.৮০০ ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার চুরির অভিযোগ ওঠে। এরপর চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদারসহ ওই বিভাগের অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সান্তাহার বাফার গুদাম পরিদর্শন করেন। পরে দুই সদস্য বিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করেন। টাস্কফোর্স গত সোমবার সার চুরির সত্যতা পায়। এরপর বুধবার জসিউর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বগুড়া আঞ্চলিক অফিসে বদলি করা হয়।
অভিযুক্ত জসিউর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।
এদিকে সার চুরির ঘটনা তদন্তের সময় সান্তাহার সার গুদাম থেকে সার সরবরাহ ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ডিলার। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে ডিলাররা সার নেওয়ার জন্য গুদামে অপেক্ষা করেন। পরে বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. কাজেম আলী সার সরবরাহের নির্দেশ দিলে বিকাল ৩টার দিকে সার সরবরাহ শুরু হয়।
এদিন মো. কাজেম আলীকে জসিউর রহমানের বাসভবনে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করতে দেখা যায়। বৈঠক শেষে কাজেম আলী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি সার গণনা করতে এখানে এসেছি।’