প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩ ২০:৪১ পিএম
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৩ ২১:০১ পিএম
সংগৃহীত ফটো
দীর্ঘ ২১ বছর পর হারানো ছেলে মো. মতিউর রহমানকে (৩৬) কাছে পেতে যাচ্ছেন মা-বাবা। শুক্রবার (২১ জুলাই) ভারত থেকে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কারজাতভিত্তিক সংস্থা ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনের’ সহায়তায় তিনি দেশে ফিরছেন।
২০০২ সালে ১৫ বছর বয়সে নিখোঁজ হন মতিউর রহমান। তবে তিনি কখন, কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন, তা জানা যায়নি।
মতিউর রহমান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেবীডাঙ্গা গ্রামের সহিদুল ইসলাম ও মর্জিনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। তিনি সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত।
সমাজকর্মী নীতীশ শর্মা এবং সহযোগী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. স্বরালি কোন্ডউইলকারসহ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ট্রেনে চড়ে মতিউর রহমান বলেন, ‘আমি খুব খুশি।’
ফাউন্ডেশনটি এখন পর্যন্ত মতিউর রহমানসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হতে সাহায্য করেছে।
এর আগে ২৭ জুন মতিউরের দেশে ফেরার কথা ছিল। তাকে নিতে দিনাজপুরের হিলি ও পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গিয়েছিলেন পরিবার। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতায় সেদিন তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। এখন নতুন করে শুক্রবার তিনি দেশে ফিরতে পারবেন বলে স্বজনদের জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুনে ভারতের মহারাষ্ট্রের কারজাত এলাকার রাস্তা থেকে মতিউরকে উদ্ধার করেন ‘শ্রদ্ধা পুনর্বাসন ফাউন্ডেশনের’ সমাজকর্মীরা। তখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন মতিউর। এরপর তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ফাউন্ডেশনের চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেন। একসময় জানা যায়, তার বাড়ি বাংলাদেশে। এরপর করোনা মহামারি শুরু হলে মতিউরের পরিবার সন্ধানের বিষয়টি স্থবির হয়ে পড়ে।
ডা. স্বরালি কোন্ডউইলকার বলেন, ’কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সমাজকর্মী নীতীশ শর্মা মতিউর রহমানকে খুঁজে বের করতে এবং শনাক্ত করতে ভূমিকা পালন করেন।’
নীতীশ শর্মা বলেন, ‘আমরা তাকে রাস্তার ধারে একটি খবরের কাগজ হাতে বসে থাকতে দেখেছিলাম। তিনি তখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। যেহেতু আমি বাংলা বলতে পারি, আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। এতে কয়েক মাস লেগেছিল।’