মিতু হত্যা মামলায় ইরাদের সাক্ষ্য
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩ ২২:১৯ পিএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩ ২২:৪১ পিএম
মাহমুদা খানম মিতু। ফাইল ছবি
চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তারের বন্ধু সাইফুল ইসলামের নির্দেশে মামলার আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারের কাছে তিন লাখ টাকা বিকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলামের কর্মচারী মোখলেসুর রহমান ইরাদ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে ইরাদ এ সাক্ষ্য দেন।
মোখলেসুর রহমান ইরাদ পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভার শরণখোলার বাসিন্দা। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায় বাবুলের ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল ইসলামের ‘মাল্টিয়ার প্রিন্ট অ্যান্ড প্যাক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
আদালতে মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর সাইফুল স্যার আমাকে সঙ্গে নিয়ে বাবুল আক্তার স্যারের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বনশ্রীর মেরাদিয়াতে যান। সেখানে সারাদিন অবস্থান করে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি। বাবুল আক্তার স্যারের ছেলেমেয়ের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করি। বিকাল ৩টার দিকে সাইফুল স্যার আমাকে অফিসে যেতে বলেন। আমি বছিলায় অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্টসের মামুন স্যারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করি। টাকা নিয়ে আমি সাইফুল স্যারকে কল দিয়ে টাকাগুলো কী করব জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের বোনের বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে আসো। আমি সেখানে টাকা দিয়ে এসে রাত ১০টার দিকে সাইফুল স্যারকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ওইদিনের কাজ শেষ করি।’
ইরাদ আরও বলেন, ‘পরদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাইফুল স্যার আমাকে আবার কল দিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন নামে একজনের নম্বর দেন এবং বাবুল আক্তার স্যারের বোনের বাসায় গিয়ে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিতে বলেন। আমি যখন টাকাটা রিসিভ করি, তখন বাবুল আক্তার স্যারের বাবাও সেখানে ছিলেন। টাকার সঙ্গে আমাকে দুটি গ্রামীণ ফোনের মোবাইল নম্বর ও নাম দেওয়া হয়, আনোয়ার এবং ওয়াসিম। টাকা পেয়ে আমি আবার সাইফুল স্যারকে ফোন করি। তিনি ওই দুটি বিকাশ নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠাতে বলেন।’
বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানোর তথ্য দিয়ে ইরাদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাউছুল আজম মার্কেটের নিচতলায় বিকাশের দোকান থেকে দুই লাখ ৩০ বা ৪০ হাজার টাকার মতো সেন্ড করতে পারি। তারপর আমি বাবুল আক্তার স্যারের বাবাকে বাসায় দিয়ে অফিসে চলে যাই। এরপর আমি সাইফুল স্যারকে কল দিয়ে বলি যে, ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, বাকি টাকা যেখান থেকে পার পাঠিয়ে দাও। পরে আমি মোহাম্মদপুর বছিলায় র্যাব অফিসের পাশে রিপন টেলিকম থেকে বাকি ৭০ হাজার টাকার মতো পাঠাই।’