চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩ ১৯:০৬ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩ ২১:২৭ পিএম
কেন্দ্রের বাহিরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রবা ফটো
ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ১০টার দিকে ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে তালা ও টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি শুরু হলে পুলিশ দুপক্ষকেই লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।
জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মেজর আহাম্মেদ বলেন, এ নির্বাচনে ১০টি ভোট কেন্দ্রে ১১ হাজার ৬৫৮ জন পুরুষ ও ১১ হাজার ২৯২ জন মহিলাসহ ২২ হাজার ৯৫০ জন ভোটা। নির্বাচনে শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার চেষ্টা করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৯ নম্বর ওয়ার্ড ডুমুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের টিউবওয়েল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট আব্দার রহমান বলেন, আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এরপর তালা প্রতীকের প্রার্থী নাসির পক্ষ নিলে তাকেও মারধর করা হয়।
নৌকার প্রার্থী মির্জা হাকিবুর রহমান লিটন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে। দুয়েকটি জায়গায় মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে প্রশাসন দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।