গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩ ১৯:১২ পিএম
বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি। প্রবা ফটো
গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জেলার প্রধান বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটি। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের ডিবি রোডে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুরাতন কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন হাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের স্বজন, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বধ্যভূমিতে অন্যকোনো অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ এবং জায়গা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া বন্ধ করে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাগার নির্মাণসহ একাত্তরে জেলার সকল নির্যাতন কেন্দ্র, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জানান।
বধ্যভূমি সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক জিএম চৌধুরী মিঠুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ৭১’র ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির জেলা আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক শাহজাদা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রণজিৎ বকসী সূর্য্য, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা গোবিন্দলাল দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার শাহীদ হাসান লোটন, অধ্যাপক মাজহারউল মান্নান প্রমুখ। এ ছাড়া অডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন, মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জু বীর প্রতীক।
বক্তারা বলেন, একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে গাইবান্ধা স্টেডিয়াম সংলগ্ন জেলার সর্ববৃহৎ বধ্যভূমির অস্তিত্বকে অস্বীকার করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে নানাভাবে বাধার সৃষ্টি করে আসছে। ওই মহলটি সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে সেখানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের পাঁয়তারা করছে।
সরকারকে প্রকৃত সত্য যাচাই করে সেখানে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানান বক্তারা।