বরিশাল (সদর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ২২:২১ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ২৩:৩৫ পিএম
বরিশাল শহরের কাশিপুর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। প্রবা ফটো
বরিশাল শহরের কাশিপুর এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফেরার পথে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় কাশিপুর বাজার এলাকায় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অন্তত আধা ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত কাউন্সিলর এবং ছাত্র-যুব ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। সেখান থেকে বরিশাল ফেরার পথে কাশিপুর এলাকায় বাস থেকে নেমে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের ঘটনা স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় ধারন হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল ফকিরকে রাস্তার পাশে ফেলে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাকেসহ উভয় গ্রুপের ৬ জনকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, মেয়র এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে যান। কিন্তু তারা সেখানে পৌঁছানোর আগেই আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট এলাকায় বাসের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর বরিশালে ফেরার পথে গৌরনদীর বাটাজোরে ও উজিরপুরের ইছলাদিতে ফের বাসের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের শান্ত করেন। কিন্তু একটি গ্রুপ মুঠোফোনে তাদের লোকদের কাশিপুরে অবস্থান নিয়ে থাকতে বলেন এবং বাসটি বিকালে সেখানে পৌঁছালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী মামুন জানান, কাশিপুর এলাকায় সংঘাত এতটা জোরালো রুপ নেয় যে, চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বরিশাল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সোহেল ফকিরকে রাস্তার পাশে ফেলে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু এর আগেই জড়িতরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি এবং রাত ৯টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায়ও অভিযোগ করেনি।