শরীয়তপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ২২:১৮ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ২২:২২ পিএম
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মডেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী তুহীন সরদার হত্যা চেষ্টা মামলায় স্বাক্ষী দেওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান মুসা নামের একজনের ওপর আদালত চত্বরে হামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া আসামি সালমা বেগম এই হামলা করেছেন।
শনিবার (৮ জুলাই) আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম।
কোর্ট পরিদর্শক মেজবাহ্ উদ্দিন বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে গিয়েছি। গিয়ে দেখি তারা চলে গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে মনে হয় হাতাহাতি হয়েছে, তেমন কিছু হয়নি। জামিনে মুক্ত থাকায় তাকে ধরা যায়নি। জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চর মালগাঁও এলাকায় জমি নিয়ে জিন্নাত নেছা ও লাল মিয়া সরদার, কুদ্দুস সরদারদের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে লাল মিয়া ও কুদ্দুস সরদারের লোকজন জিন্নাত নেছার লোকজনের ওপর হামলা করে। এ সময় জিন্নাত নেছার বোনের ছেলে ব্যবসায়ী তুহীন সরদার মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারন করছিলেন। তখন তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ডামুড্যা থানায় মামলা করেন জিন্নাত নেছা। এই মামলার দ্বিতীয় স্বাক্ষী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান মুসা।
আসামিরা হলেন- লাল মিয়া সরদার, কুদ্দুস সরদার, সোহাগ সরদার, ইদ্রিস সরদার, সালমা বেগম, মিরাজ সরদার, শাহিন সরদার, ফিরোজ সরদার, কুসুম বেগম, সত্তার সরদার, মেহেদী সরদার, আজিজুল চৌকিদার, নজু চৌকিদারসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৭ জন।
তারা গত ৬ জুলাই শরীয়তপুর আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক লাল মিয়া সরদার ও কুদ্দুস সরদারকে আদালতে পাঠিয়ে অন্যদেন জামিন দেন।
মোস্তাফিজুর রহমান মুসা বলেন, আমাকে তারা মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও মোবাইলে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। বলেছে, স্বাক্ষী দিলে মেরে ফেলবে। এঘটনায় আমি ডামুড্যা থানায় একটি জিডি করেছি।
অভিযুক্ত সালমা বেগমের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জিন্নাত নেছা বলেন, আমার স্বামীর অবর্তমানে আসামিরা জমি দখল করে ঘর তোলার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় আমাদের মারধর করেছে। আমি মামলা করেছি। আদালতের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি। আমি আশাবাদী ন্যায় বিচার পাব।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম বলেন, আদালত চত্ত্বরে হামলার ঘটনা নেক্কার জনক। স্বাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় আসামির জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেছি। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাব।
স্থানীয়রা জানায়, চর মালগাঁও মৌজায় জিন্নাত নেছার ৫২ শতাংশ জমি রয়েছে। লাল মিয়া সরদার ও কুদ্দুস সরদার সেই জমি দখলে নিতে চেষ্টা করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা হয়। আদালত উপেক্ষা করে আসামিরা গত ৫ এপ্রিল ফের জমি দখল করে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলে জিন্নাত নেছার লোকজন বাধা দেয়। এতে তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করেন জিন্নাত নিছা।