প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৫:০৭ পিএম
আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৬ পিএম
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেছেন, সংশোধন বিলটি পাস করার মধ্য দিয়ে অনিয়ম হলে ভোট বন্ধে নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা ছিল, বাস্তবে তা কেড়ে নেওয়া হলো। এ সময় আরপিও সংশোধন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হকের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
লিখিত বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, ‘আরপিওর ৯১ (ক) অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল না হলে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের আগেই নির্বাচন বন্ধ করতে পারত। এখন এ ক্ষমতা সীমিত করে কেবল ভোটের দিন সংসদীয় আসনের কতিপয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখতে পারবে, পুরো সংসদীয় আসনের নয়।’
গণতন্ত্র মঞ্চের এই সমন্বয়ক অভিযোগ করেন, ‘এটা স্পষ্ট যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বাড়তি সুবিধা দিতে এবং জাতীয় নির্বাচনে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতেই এ সংশোধন আনা হয়েছে। এ সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও সংকুচিত করা হলো।’
এর ফলে ভোটকেন্দ্রে সরকারি দলের স্বেচ্ছাচারিতা, আধিপত্য ও কর্তৃত্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার যখন আরও একটি সাজানো একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে, তখন ভোট বাতিলে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমানো যে পুরোপুরি দুরভিসন্ধিমূলক তাও স্পষ্ট। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ও সরকারি দলের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই যে এ সংশোধন আনা হয়েছে তাও অত্যন্ত পরিষ্কার।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের নয়ছয় করার সুযোগ আরও বৃদ্ধি পেল। এর মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারি দলের কুমতলবও বেরিয়ে এসেছে।’
আগে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন আগে যাবতীয় বকেয়া বিল পরিশোধের বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন ক্ষুদ্রঋণ, টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বকেয়া বিল এক দিন আগে জমা দিলেও চলবে।
এ সংশোধনের সমালোচনা করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যাবে। তাই আরপিও সংশোধন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।