কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:০০ পিএম
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩ ১৬:৩৭ পিএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইসিসি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। প্রবা ফটো
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়নে শিকার ৩৫ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গারা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের জাতিগত নিধনযজ্ঞ, সম্ভ্রমহানিসহ ভয়াবহ নির্যাতন, আগুনে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান।
সাক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজনে এসব রোহিঙ্গার নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুতুপালংয়ের ১-পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে যান। সেখানে বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করে প্রতিনিধিরা যান বালুখালীর ১২ নং ক্যাম্পে। সেখানে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা।
প্রতিনিধিদলটির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা, কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের এক কর্মকর্তা ছিলেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিনিধিদলটি কুতুপালংয়ের ১-পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পে ১৫ জন ও বালুখালীর ১২ নং ক্যাম্পে ২০ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।
বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে এই কর্মকর্তা রাজি না হলেও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপ করা রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার জুবাইর জানান, মিয়ানমারে জাতিগত নিধনযজ্ঞ, সম্ভ্রমহানিসহ ভয়াবহ নির্যাতন, আগুনে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার তথ্য নিয়েছেন তারা।
তথ্য দেওয়া এক নারী জানান, তিনি ও তার পরিচিতদের মধ্যে যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার বর্ণনা, তার স্বজনদের হত্যার তথ্য তিনি জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্যানুসন্ধানের জন্য বুধবার কক্সবাজার আসেন আইসিসির এসব প্রতিনিধিরা। কক্সবাজারে পৌঁছে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা।