মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩ ২০:০৩ পিএম
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আগ শিমুলিয়া গ্রাম থেকে মোরশেদা আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৫ জুন) রাত ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোকসেদ আলী গৃহবধূর স্বামী মিরাজ মোল্লাসহ চারজনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে মামলা করেন। তারপর সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে মিরাজ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর এ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোরশেদা মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌলী গ্রামের মোকসেদ আলীর মেয়ে। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়ি থেকে মোরশেদার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
মোরশেদার বাবা মোকসেদ আলী জানান, ৮ বছর আগে আগ শিমুলিয়া গ্রামের মোতালেব মোল্লার ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী মিরাজের সঙ্গে মোরশেদার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার মেয়েকে এক ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ একটি ফ্রিজ ও আলমারি দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই মিরাজ তার বাবা, মা ও ভাইয়ের কুপরামর্শে মোরশেদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্য একাধিকবার শালিসও হয়েছে। তিন বছর আগে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে দুই ধাপে মিরাজকে দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়। তারপরও মিরাজ মোরশেদাকে নির্যাতন করত।
তিনি বলেন, মিরাজ ও তার পরিবারের সদস্যরা মোরশেদাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবীর হোসেন বলেন, মোরশেদার বাবা কিছুদিন আগে আমাকে তার মেয়েকে নির্যাতনের কথা জানিয়েছিলেন। ছেলের পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে বসারও কথা ছিল। তার আগেই মোরশেদাকে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওসি নূর এ আলম বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের বাবা চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে স্বামী মিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।