চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩ ০০:২২ এএম
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৩ ১১:৪৯ এএম
বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর শিপ ব্রেকিং খাতের ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান লস্করের (মাহিন) বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবি ব্যাংক। গত ১৮ জুন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় মাহিনসহ আরও তিনজনকে বিবাদী করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থঋণ আদালতের এক আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এক হাজার ১২৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ে এবি ব্যাংক আশিকুর রহমান লস্করের (মাহিন) বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঋণ গ্রহীতা মাহিনসহ অপর তিন বিবাদীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন মাহিনের বাবা আতিকুর রহমান লস্কর, মা শামসুন নাহার লস্কর এবং স্ত্রী রুবাইয়া লস্কর। এর মধ্যে বাবা-মা ঋণের মর্টগেজের এবং স্ত্রী গ্যারান্টর হিসেবে রয়েছেন।
এবি ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে প্রথম ঋণসুবিধা নেন মাহিন। এরপর ২০০৭-০৮ সাল থেকে ধীরে ধীরে বড় অঙ্কের ঋণসুবিধা নিতে থাকেন। বিএনপি নেতা ও ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদের বন্ধু মাহিন। ফলে সহজেই বড় অঙ্কের এই ঋণসুবিধা পান। প্রথম কয়েক বছর ঠিকমতো ঋণ শোধ করলেও ২০১৩-১৪ সালের পর বড় অঙ্কের কোনো টাকা পরিশোধ করেননি বললেই চলে।
এমনকি খেলাপি হওয়ার পরও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকের শাখাটির কর্মকর্তাদের জিম্মি করে কমান্ডো স্টাইলে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানিতে ঋণসুবিধা নেয় মাহিন। ১৩৩ কোটি টাকা মূল্যের আমদানির সেই ঋণের টাকা গত তিন বছরেও সমন্বয় করেননি তিনি। দীর্ঘদিন ঋণসুবিধা নিয়ে পরিশোধ না করায় ১৮ জুন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করে এবি ব্যাংক।
এবি ব্যাংক ছাড়াও মাহিনের কাছে ঢাকা ব্যাংকের ১৮৫ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭৫ কোটি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১০০ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১০০ কোটি, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৭২ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২৯ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংকের ২৪ কোটি, ফার্স্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১৯ কোটি এবং মেরেডিয়ান ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১২ কোটি টাকা পাওনা আটকে রয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্যাংকের মামলায় গত ৫ মার্চ আদালত দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিলে পরদিনই দুবাই পাড়ি জমান মাহিন।