সিলেট অফিস
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩ ২১:১৯ পিএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৩ ২১:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের পরদিন নগরীতে ফিরেছে লোডশেডিং। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফা লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা ভোগ করে নগরবাসী।
সিসিক নির্বাচনে নগরী কার্যত লোডশেডিংমুক্ত ছিল। গত মাসে জ্বালানি সংকটে দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছিল। সিলেট জেলাতেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। নগরীতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া শুরু হলে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বাগবাড়িতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। তখন কর্মকর্তারা জানান, নগরীতে প্রতিদিন ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়। এ ঘাটতির জন্য লোডশেডিং হচ্ছে।
গত ১৮ এপ্রিল বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন আনোয়ারুজ্জামান। এ সময় নানা সমস্যায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নাজুক হওয়ার কথা বললেও সিলেটে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর নগরীতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর ফলে আনোয়ারুজ্জামানের প্রচেষ্টায় নগরীতে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেও প্রচার করা হয়।
সিলেটে পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, এত দিন নির্বাচনের জন্য সিলেট লোডশেডিংমুক্ত ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং হয়।
পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সিলেটে ১৭১ দশমিক ৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১১৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বরাদ্দ মিলেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে ৫৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ দিন সিলেটে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।’
নগরীর মীরাবাজারের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত তার বাসায় বিদ্যুৎ ছিল না। তবে মাসখানেক ধরে বিদ্যুৎ যায়নি বলে জানান তিনি।
নগরীর তাঁতীপাড়ার গৃহিণী শরীফা আক্তার বলেন, ’ভোটের আগে বিদ্যুৎ যাওয়া বন্ধ ছিল। কয়েক দিন ভালোই কেটেছিল। মাইকের চিৎকার থাকলেও বিদ্যুৎ যেত না। ভোটের পরদিন দেখছি লোডশেডিং ফিরে এসেছে।‘
নগরীর সুবিদবাজারের ব্যবসায়ী আতিক হোসেন বলেন, ’আমাদের ভোট পাওয়ার জন্য মাঝে কিছু দিন স্বস্তি দেওয়া হয়েছে। এখন ভোট শেষেই লোডশেডিং যন্ত্রণা ফিরেছে।‘
নগরীর রিকাবীবাজারের বাসিন্দা তপন মিত্র বলেন, ’সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাসায় বিদ্যুৎ ছিল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক দফা লোডশেডিং হয়।’