প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩ ২১:২৩ পিএম
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগী, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি ও ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, পুরো সমাজকেই নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সরকার নারী ও শিশুর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রকল্প, আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
বুধবার (২১ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাব্রেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. মো. শামীম হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবেদা আক্তার, পরিচালক সুফিয়া নাজিম ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহানা আক্তারসহ বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তাররা।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার হওয়া নারী ও শিশুর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল পেরাগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারসহ ৮টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধন ২০২০ আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করায় দ্রুত অপরাধী শনাক্ত এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। পূর্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ছিল ৪৫টি। এখন সেখানে এ ট্রাইব্যুনাল হয়েছে ১০৬টি। বহুমুখী এসব কার্যক্রমের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন আগের তুলনায় অনেকখানি কমে এসেছে।’