আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩ ২৩:৪৩ পিএম
আপডেট : ২১ জুন ২০২৩ ১৪:৫১ পিএম
আখাউড়ায় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে কলেজের পরিবেশ। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে পুরো কলেজ মাঠে পুঁতে রাখা হয়েছে বাঁশ।
পশুর হাটের ইজারাদার যুবলীগ নেতা ইয়াছিন মোল্লা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, কোরবানি উপলক্ষে পশুর হাটের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকায় মাঠটি সাতদিনের জন্য ভাড়া নিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল থেকে আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে গরু, ছাগল ও মহিষের হাট বসেছে। আখাউড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইয়াছিন মোল্লা এই মাঠের ইজারাদার। মঙ্গলবার এই মাঠে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। আগামী ২৩ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত এই মাঠে পশুর হাট বসবে। ইয়াছিন মোল্লা মাঠের ভাড়ার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ারকে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
কলেজের কয়েকজন প্রভাষক ও শিক্ষার্থী জানান, নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনো হাট বসানো যাবে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাঠটি আখাউড়া পৌরসভার আওতাধীন হলেও কর্তৃপক্ষ পশুর হাটের ইজারার জন্য কোনো দরপত্র আহ্বান করেননি। মাঠটি দরপত্রের ইজারা দিলে পৌর কর্তৃপক্ষের ২৫-৩০ লাখ টাকা রাজস্ব পাওয়ার সুযোগ ছিল।
উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, প্রতি মঙ্গলবার উপজেলার পশুর হাটের মাঠে সাপ্তাহিক হাট বসে। এটি শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠের পূর্বদিকে অবস্থিত। সেখানে হাট বসলেও শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের মাঠে সাপ্তাহিক কোনো হাট বসে না। কলেজে যাওয়ার রাস্তায়ও গরু, ছাগল ও মহিষ বেঁধে রাখা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের কলেজ যেতে সমস্যা হয়।
শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ওয়াহিদ সারোয়ার বলেন, ইউএনও স্যার এখানে হাট বসার অনুমতি দিয়েছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটের বিষয়টি স্পর্শকাতর। ঈদের চিন্তা করেই এখানে হাট বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদানে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ক্লাস হয়েছে। কলেজে অনুমানিক ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার ২০০ থেকে ২৫০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, শুধু কোরবানির ঈদের বিষয়টি মাথায় রেখেই কলেজ মাঠে পশুর হাট বসতে দেওয়া হয়েছে।