শরীয়তপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৩ ২০:০৫ পিএম
টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। সংগৃহীত ফটো
বৃষ্টিতে ভিজে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে শরীয়তপুরের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইয়াসমিন আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে গেলেও মেঘলা আক্তার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বজ্রপাতের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা ভিডিওতে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করছেন।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুর ২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের ছাদে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হন হাসপাতালের ক্লিনার মেঘলা আক্তার ও অভ্যর্থনাকর্মী ইয়াসমিন আক্তার। মুক্তিযোদ্ধা ভবনের একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আহত মেঘলা আক্তার শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া ইউনিয়নের গাজার বাজার এলাকার সুলতান আহমেদের মেয়ে। ইয়াসমিন আক্তার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খাসের হাট গ্রামের রেজাউল বেপারির মেয়ে।
ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘বৃষ্টি আসার পর আমরা দুজন ছাদে ভিজতে যাই। এ সময় মেঘলা আমাকে ভিডিও করতে বললে আমি ভিডিও করার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ’বৃষ্টিতে ভিজে ভিডিও বানাতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন হাসপাতালের দুই স্টাফ। ইয়াসমিন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। মেঘলাকে নিয়ে আমরা সদর হাসপাতালে আছি। চিকিৎসক আশ্বাস দিয়েছেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।’
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ’বজ্রপাতে আহত একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
এ বিষয়ে পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ’মেঘলা আক্তার আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন। মানুষ সচেতন হচ্ছে না বলেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটল। সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত) সংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, ঘটনাটি শুনেছি। আহত ওই নারী এখন আশঙ্কামুক্ত আছেন। চিকিৎসার কোনো কিছু প্রয়োজন হলে সেটা উপজেলার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’