নরসিংদী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩ ১৭:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৩ ১৮:৪৮ পিএম
ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর। ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শনিবার (১৭ জুন) সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জাহাঙ্গীর হোসেন মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের উরুলিয়া গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে ও এশিয়া ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, গত ২৮ মে উপজেলার উরুলিয়া ও মির্জাপুর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পাশের মির্জাপুর গ্রামের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়। ঘটনার ১৪ দিন পর ১১ জুন বিকালে জাহাঙ্গীর তার ২বন্ধু শাহীন ও তানজীলকে নিয়ে চালাকচর বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা চালাকচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছলে বড় মির্জাপুর গ্রামের মোজাম্মেল, ইবরাহিম, মোশাররফ হোসেন, জামাল উদ্দিন এবং আবু বকরসহ ১০-১২ জন মিলে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাহাঙ্গীরকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে এবং শাহীনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তানজীল আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। ঘটনার ৫ দিন পর শুক্রবার রাতে হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সুমন মিয়া মনোহরদী থানায় গত ১৫ জুন অভিযুক্ত পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নিহতের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘ফুটবল খেলায় বাকবিতণ্ডা মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে যারা মেরে ফেলেছে আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি। শাস্তিটা এমন দৃষ্টান্ত হোক যেন ভবিষ্যতে আর কারও ভাই বা কারও সন্তানকে হারাতে না হয়।’
ওসি মো ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থানায় একটি মারধরের মামলা করা হয়েছিল। এটি এখন হত্যাকাণ্ডের ধারায় পরিণত হবে।নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।