মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৩ ১২:০০ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৩ ১৩:২২ পিএম
শ্যামল বেপারী
ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন মুন্সীগঞ্জ সদরের শীলই ইউনিয়নের শ্যামল বেপারী (৩৮)। প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমিজমাসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে মঙ্গলবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ ঘরে খুন হন তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শ্যামল বেপারী শীলই ইউনিয়নের পূর্ব রাখি এলাকার মৃত আবদুল গনি বেপারীর ছেলে। মঙ্গলবার রাতে ঘাতকরা প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত-পায়ে কুপিয়ে জখম করে। এরপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে। সবশেষ গুলি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার শরীরে ১১টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজ বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় একই গ্রামের শাহাদাত বেপারী, ইব্রাহিম বেপারী, মহিউদ্দিন বেপারীসহ অন্যরা তার ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা শ্যামলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করেন। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শৈবাল বসাক জানান, রাত ২টার দিকে মৃত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তার হাত-পা ভাঙা ছিল। মাথা ও কোমরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১১টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন জানান, ঘটনার পর ওই এলাকায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।