টিলা কেটে খেলার মাঠ
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩ ১৯:১৩ পিএম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাটে খেলার মাঠ তৈরির নামে টিলা কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। নারায়ণহাট ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জহির উদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন জসিম উদ্দিন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘টিলা কাটার ব্যাপারে অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এর আগে রবিবার (১১ জুন) উপপরিচালক বরাবর এ অভিযোগটি দেওয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়ির নারায়ণহাটের মাইজকান্দি এলাকায় স্কেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে টিলা কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে খেলার মাঠ। এতে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য বিলীনসহ নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র। টিলা কাটা পরিবেশ আইনে নিষিদ্ধ হলেও তোয়াক্কা করছেন না স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা। মানা হচ্ছেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনাও।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে সমতল খাস জমিতে খেলার মাঠের জায়গা নির্ধারণ করা হলেও ব্যতিক্রম নারায়ণহাট ইউনিয়ন। ইউনিয়নের চাঁনপুর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের আওতায় ২ দশমিক ৬৯ একর টিলা কেটে মাঠটি তৈরি করা হচ্ছে। যা ভূমি অফিসের রেকর্ডেও টিলা শ্রেণি উল্লেখ আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপর থেকে ২ ফুট মাটি কেটে সমান করার জন্য নির্দেশ দিলেও চেয়ারম্যান পুরো টিলাটি কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে। এ নিয়ে গত ৯ জুন (শুক্রবার) ‘সমতলে খাসজমি রেখে টিলা কেটে খেলার মাঠ’ শিরোনামে প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
অভিযোগকারী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্ক্যাভেটর দিয়ে প্রতিদিন কাটা হচ্ছে বিশাল আকৃতির টিলা। এ টিলার পশ্চিম পার্শ্বে পুরনো কবরস্থান এবং পূর্বে কৃষি জমি। টিলা কেটে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি জমিও। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাছাড়া যেখানে খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে সেখানে যাওয়ার কোন সুনির্দিষ্ট রাস্তাও নেই।’ বিষয়টি তদন্তপূর্বক টিলা কাটা বন্ধসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।