ফরিদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩ ২৩:১২ পিএম
গুলিতে ছিদ্র হয়েছে বাড়ির দরজার কাঁচ। প্রবা ফটো
ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ আলী বিদুর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময় মাকসুদ আলী বিদুর পাঁচ প্রতিবেশী সমর্থকের বাড়িতেও বোমা হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মাকসুদ আলী বিদুর পরিবারের লোকজন জানান, একতলা বাড়ির প্রধান দরজায় পরপর দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সঙ্গে হামলাকারীরা এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিটি দরজা ভেদ করে ঘরের মধ্যে ঢোকে। ঘটনার সময় মাকসুদ আলী বিদু ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও পরিবারটি আতঙ্কে আছে। একই সময় এলাকার সৈয়দ এনাম সুলতান, সৈয়দ হাসানুজ্জামান চপল, সৈয়দ মাহফুউজ্জামান, খন্দকার জীবানুর রহমান নাদিম ও সৈয়দ মোশাররফ আলী আশফাকের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। এসব বাড়িতেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কী কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা কেউ জানাতে পারেনি। মাকসুদ আলীর পরিবারের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এলাকার একটি পক্ষের সঙ্গে মাকসুদের দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া গেরদা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাকসুদ আলী নৌকার মনোনয়ন চান। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। সে নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে অল্প ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা মাকসুদ আলী। নির্বাচনের সময় থেকেই একটি মহল তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। এ হামলা সে কারণে হয়ে থাকতে পারে। থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে একই সময় ছয় বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গেরদা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক জানান, যারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল গাফফার জানান, পুলিশ কিছু আলামত জব্দ করেছে। তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।