সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩ ২১:৫৭ পিএম
আপডেট : ১০ জুন ২০২৩ ২২:১৫ পিএম
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত
সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে চুরির অপবাদে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন মহানগর হাকিম আদালত।
শনিবার (১০ জুন) নিহত নয়নের বাবা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরল থানার তেঘরা গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মো. রুবেল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার নারায়নপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার গুজিয়াবাজারের হুদ্ধাবালা গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক, কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার নারায়নপুর গ্রামের মো. শহিদ মিয়ার ছেলে আয়নাল হক ও একই গ্রামের মো. ময়নাল হকের ছেলে মো. শাবান আলী।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আসামি রুবেল ওসমানী হাসপাতালের নির্মাণাধীন ক্যান্সার ইউনিট ভবনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানী লিমিটেডের সাইট একাউন্স অফিসার। এ ছাড়া আমিনুল শ্রমিক সর্দার, আব্দুর রাজ্জাক বাবুর্চি এবং আয়নাল ও শাবান রড মিস্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আমিনুলের কক্ষ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। এই টাকা চুরির অপবাদে শুক্রবার ভোরে নয়ন ও আইয়ুবকে বেঁধে আসামিরা বাঁশ ও পাইপ দিয়ে পেটাতে থাকে।
উপ-কমিশনার সুদীপ দাস বলেন, বেধড়ক নির্যাতনের একপর্যায়ে নয়ন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আইয়ুবকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে আইয়ুবের মাধ্যমেই নিহত নয়ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম জামাল অ্যান্ড কোম্পানী লিমিটেডে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল।