সিলেট সিটি নির্বাচন
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩ ১৭:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) ভোরে নগরীর বনকলাপাড়া ও হাজীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মহানগরের বিমানবন্দর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বনকলাপাড়ার আতিকুর রহমান, জুবের আহমদ ও হাজীপাড়ার নুরুজ্জামান। এদের মধ্যে জুবের ও নুরুজ্জামানকে সিসিটিভি ফুটেজে সশস্ত্র অবস্থায় মহড়া দিতে দেখা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস জানিয়েছেন, ত্রাস সৃষ্টি করে ভয়ভীতি ছড়ানোসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে মামলা হয়েছে।
প্রধান আসামি আফতাব নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আফতাব ও আব্দুল্লাহ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ খান সায়েক।
শনিবার দুপুরে নগরীর জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে সিসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর প্রার্থীর বাসার সামনে সহযোগী নিয়ে অপর প্রার্থীর সশস্ত্র মহড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তো একা নির্বাচন কমিশন নই। অপর কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শুক্রবার বিকালে সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগে বলেন, গত মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বাসার ফটকের সামনে আসে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বন্দুক তাক করে তাকে ও পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়। পাশাপাশি ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
আফতাব হোসেন খানের অনুসারী সন্ত্রাসীরা পাড়া মহল্লায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে বলেও রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ। এছাড়া পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকিংয়ে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে মহড়ার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আফতাব হোসেন খানের দাবি, সুপার এডিটের মাধ্যমে লন্ডন থেকে এসব ভিডিও ছড়ানো হয়েছে।