গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩ ১২:২২ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩ ১৩:২৫ পিএম
সারা দেশের মতো রাজবাড়ীতেও বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড দাবদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এক ফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে পশুপাখিরাও। রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে ফসলের মাঠ। এ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজবাড়ীতে সালাতুল ইসতিসকার (বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ) আদায় করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, এলাকাবাসীসহ ৫ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। মহান রবের দরবারে বৃষ্টির জন্য আকুতি জানান তারা।
ভাণ্ডারিয়া সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির নামাজে ইমামতি করেন। দুই রাকাত নামাজ আদায়ের পর খুতবা পাঠ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন তিনি।
পাঞ্জাবি-টুপি পরে জায়নামাজ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা নামাজে অংশ নেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় মুসল্লিরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ এতে অংশ নেন। নামাজ শেষে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বৃষ্টির জন্য মহান রবের দরবারে দোয়া করা হয়।
স্থানীয় মো. ইউনুস আলী বলেন, বর্তমানে আবহাওয়ার যে অবস্থা তাতে মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি পর্যন্ত বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে। আজ আমরা ভান্ডারিয়া মাদ্রাসার আহ্বানে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম যেন বৃষ্টি হয়। মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তানিমুর রহমান বলেন, সারা দেশে অসহনীয় গরম পড়েছে। অনেক দিন ধরেই বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু হচ্ছে না। তীব্র গরমে শুধু মানুষ না, পশুপাখিও কষ্ট পাচ্ছে। তাই আমরা রসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম।
অধ্যক্ষ আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মনির বলেন, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে ধারণাতীতভাবে তাপমাত্রা বেড়েছে। এ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষসহ পশুপাখির কষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা বিশেষ নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমাভিক্ষা চেয়েছি। তিনি যেন আমাদের সবার গুনাহ মাফ করে দিয়ে বৃষ্টি দেন।