রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৩ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ০৭ জুন ২০২৩ ২১:১৪ পিএম
প্রতীকী ছবি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চাঁদা দাবি করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলার বলাইখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়নি।’
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে উপজেলার মর্তুজাবাদ এলাকার রিফাত নামের এক যুবক ও তার লোকজন গোলাকান্দাইল এলাকার নুরা নামে এক জমি ব্যবসায়ীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে জমি ওই জমি ব্যবসায়ী তার আত্মীয় বলাইখা এলাকার মেহেদী হাসানের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং চাাঁদা চাওয়ার বিষয়টি জানান। দুপুর একটার দিকে রিফাতসহ তার লোকজন ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বলাইখা এলাকায় গিয়ে নুরা, মেহেদী হাসানসহ তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় মেহেদী হাসানরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই ধারালো ও দেশিয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রানা মিয়া, ইমন, শিফাউল ফাহিমসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত রানা মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠোনো হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচটি বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালোনো হয়ছে।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা ও ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা অভিযোগে মেহেদী হাসান, কাওসার আহাম্মেদ, মিঠুনসহ ছয় জনকে আটক করে পুলিশ। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।