× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

গাজীপুরে নির্বাচন-পরবর্তী আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় হট্টগোল

গাজীপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩ ১৮:৩০ পিএম

আপডেট : ০৫ জুন ২০২৩ ১৮:৫৫ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-পরবর্তী সোমবার আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় হট্টগোল। প্রবা ফটো

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-পরবর্তী সোমবার আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় হট্টগোল। প্রবা ফটো

সদ্য অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন-পরবর্তী আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। নগরীর গাছা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় নগরীর মোল্লা কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হট্টগোলের ঘটনায় ছয়জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আঘাতপ্রাপ্তরা হলেন, হাসান উদ্দিন মাস্টার, এমারত হোসেন, আশিকুর রহমান, ফরহাদ হোসেন, রমজান আলী ও রফিকুল ইসলাম।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রমতে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় ২৫ মে। নির্বাচনে পরাজিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খান। এরপর দলের পক্ষে নির্বাচন-পরবর্তী মূল্যায়ন সভার সিদ্ধান্ত হয়। এটি শুরু হয় ৩১ মে। এরপর ৩ জুন ও গতকাল আরও দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আরও দুটি সভা হবে ৭ ও ৮ মে।

সোমবার অনুষ্ঠিত গাছা থানা আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, সভা শুরু হয় বেলা ১১টায়। শুরুতে বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাকা হয় স্থানীয় এক নেতাকে। এর বিরোধিতা করে অনেকে হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। 

সভায় বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদম আলী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী শাহজাহান আলী, শামছুল হক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গাছা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন।

আজমত উল্লা খান বলেন, ‘যেকোনো সভায় এ ধরনের হট্টগোলের মানে হলো দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এটা দুঃখজন, লজ্জাজনক।’

নির্বাচনে পরাজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাকর্মীরা নৌকাকে পরাজিত করেছে। তাদের লজ্জা থাকা উচিত। আজ যারা মঞ্চে কথা বলবেন, দেখি তারা নিজ-নিজ কেন্দ্রের ভোটের ফল সম্পর্কে বলতে পারেন কি না। তারপর অন্য বক্তব্য দেবেন। আমার কাছে তথ্য আছে, আমাদের এক কর্মী ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলরপ্রার্থীর সভায় নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন। এজন্য তাকে শুধু পিটুনি দেওয়া বাকি রেখেছিল তারা।’

আজমত উল্লা খান বলেন, ‘দলকে (আওয়ামী লীগ) সুসংগঠিত করতে হবে। আগামী দিনে যাতে দলে বহিরাগতদের স্থান না হয়, তারা যেন বিভ্রান্তি করে নৌকাকে পরাজিত করতে না পারে। ফেসবুকে দেখলাম, আমি গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হওয়ায় অনেকে আত্মহারা। কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট হয়ে যাচ্ছেন, কেউ কেউ হতে চাচ্ছেন। আপনারা দয়া করে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২০-এর ধারা ৭ (চেয়ারম্যান এবং সার্বক্ষণিক সদস্য নিয়োগ, মেয়াদ, অপসারণ ইত্যাদি) দেখে নেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই আপনাদের চেয়ে ভালো বোঝেন। তিনি আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি দল পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।’

নেতাকর্মীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘বুকে হাত দিয়ে বলেন তো, আপনার পরিবারের সদস্যরা কী করে (কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থক)? যিনি নিজের স্ত্রী-সন্তানকে নৌকার পক্ষে আনতে পারেন না, তার মতো লোকের আওয়ামী লীগে থাকা উচিৎ না।’ 

আজম উল্লা খান বলেন, ‘নেতাকর্মীদের জন্য আমার দরজা খোলা। অনেকে বলেছেন, নির্বাচনে হেরে গেলেন। আমরা কাঁদছি, আপনি হাসছেন। কারণ কী? আমি বলেছি, এতে মানসিক শান্তি আছে। আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের কাছে হারলে দুঃখ ছিল। আমাকে হারিয়েছে তো নিজ দলের নেতাকর্মীরা। ভেতরে রক্তক্ষরণ হলেও মুখে হাসি ধরে রেখেছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আপনারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাননি। মেয়রপ্রার্থীর জন্য ভোট না চেয়ে কাউন্সিলর নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। যারা ভোট না দেওয়ার বারবার অনুরোধে তারাও ভোট দেয়। পরাজয় তো আমরা চিন্তাও করিনি, কিন্তু তা-ই হয়েছে। দলের ভেতর মুখোশধারীদের চিহ্নিত করার সময় এসেছে। এখানে (গাজীপুর সিটি করপোরেশন) আগে একজন মেয়রকে বহিষ্কার করা হয়। তখনোই এদের চিহ্নিত করা গেলে এই সমস্যা হতো না। আমরা ছিলাম গণসংযোগে, তারা বিলিয়েছে টাকা। অনেকে কষ্ট করেছেন, কষ্টের ফল আসেনি। আপনারাই পরাজয়ের কারণ খুঁজে বের করুন।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী সবদিকে পারফেক্ট (উপযুক্ত) ছিলেন। তাহলে মানুষকে কেন বোঝাতে পারলাম না? খুঁজে বের করতে হবে। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বৃদ্ধ মা জায়েদা খাতুন), তিনি কি সেভাবে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন? কাজের জন্য মন্ত্রণালয়ে দৌড়াতে হবে। সেখান থেকে অর্থ বরাদ্দ আনতে হবে। মিটিং করতে হবে। আরও কত কি। তার পক্ষে কী এসব সম্ভব? উনি তো বয়স্ক মানুষ। সাধারণ মানুষকে বোঝানো গেল না। গত ১০ বছর আমরা কত কষ্ট করেছি। একবার ভারপ্রাপ্ত, আবার মেয়র, আবার ভারপ্রাপ্ত। এভাবে একটি সিটি করপোরেশন চালাতে পারে না। আবার এই পাঁচ বছর কী যে হবে!’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা