চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৩ ২২:০৯ পিএম
পুলিশের হেফাজতে মিতু হত্যা মামলার আসামি কালু। প্রবা ফটো
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে হত্যা ও অস্ত্রসহ চার মামলার আসামি কালুকে নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়। কালু রাঙ্গুনিয়া থানার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, নগরীর আকবর শাহ থানার ছিন্নমূল এলাকা থেকে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ছদ্মবেশে ছিলেন তিনি। মিতু হত্যা ছাড়াও ২০১২ সালে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলার পলাতক আসামি ছিলেন কালু। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা ও অস্ত্র মামলা আছে।
মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। সেখানে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকেই খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দিন মিতুকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কালুর বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা দাবি করে বাবুল আক্তার নিজেই বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। এরই মধ্যে মামলায় মিতুর বাবার সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-- বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। সাত আসামির মধ্যে দুজন পলাতক, একজন জামিনে আর চারজন কারাগারে।