বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩ ১৯:৩৭ পিএম
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্সসূচির আওতায় রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ায় হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) সকাল পৌনে নয়টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন বলেন, ‘ক্ষুদ্র বিষয়েও যদি সাংবাদিকরা আসেন তাহলে কাজ করবো কীভাবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁতেরকাঠী গ্রামের নুর মোহাম্মাদ হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের জালাল খন্দকারের সাথে জমি জমা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমির ওপর দিয়ে চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে জালাল খন্দকার বাড়িমুখী মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রকল্পের বিধিমতে নির্দিষ্ট শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে এক্সকাভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে কাজ করছেন।
রাস্তা নির্মাণে নুর মোহাম্মাদ ও তার ওয়ারিশগণ বাঁধা দিলে চেয়ারম্যানের ভাই ও ইউপি সদস্য আহসান হাবিব মিন্টু দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ইদ্রিস হাওলাদার, মমতাজ বেগম ও আকলিমাসহ ৫ জনকে আহত করে।
এ ঘটনায় নুর মোহাম্মাদ বাদি হয়ে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের করার নির্দেশ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর পুনরায় কাজ শুরু করে চেয়ারম্যানের লোকজন। খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় বার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন।
নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। জোড়জবরদস্তি করে জালাল খন্দকারেরা ভোগ করতে চায়। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালত যে রায় দিবে তাই মেনে নিবো। কিন্তু চেয়ারম্যান জোর করে আমাদের জমির ওপর দিয়ে তার সমর্থকদের বাড়ির রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাঁধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এস.এম মহসিন বলেন,‘ক্ষুদ্র বিষয়েও যদি সাংবাদিকরা আসেন তাহলে কাজ করবো কীভাবে? রাস্তা নির্মাণ হোক, তারপর বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেব।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাসের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, ‘বিবাদমান জমিতে রাস্তা নির্মাষের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএ আরিচুল হক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’