সিলেট সিটি নির্বাচন
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১২:৪৭ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩ ১৪:৫৮ পিএম
প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন। প্রবা ফটো
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২ জুন) সকাল ১০টায় নগরীর জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে প্রথমে মেয়র ও পরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন।
মেয়রপদে দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান হাতপাখা ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম পেয়েছেন গোলাপ প্রতীক। অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থীদের মধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আব্দুল হানিফ কুটু ঘোড়া প্রতীক, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট ও শাহ জাহান মিয়া বাসগাড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে প্রতীক আনতে যান দলের মহানগর সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, কো-চেয়ারম্যান ও জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ নেতাকর্মীরা।
আনোয়ারুজ্জামান প্রতীক নিয়ে বের হওয়ার পর বাইরে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীরা ‘নৌকা নৌকা’ স্লোগান তোলেন। পরে তাদের নিয়ে শোডাউন করেন। মেন্দিবাগ এলাকায় প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন তিনি।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে চৌধুরী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আনোয়ারুজ্জামান। তিনি বলেন, নগরবাসীর উন্নয়নের তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ সময় আচরণবিধি মেনে চলার আশ্বাস দেন ইতোমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দুই দফা শোকজ পাওয়া এই মেয়রপ্রার্থী।
এদিকে নির্বাচনের পরিবেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাওলানা মাহমুদুল হাসানও।
আগামী ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মেয়র পদে সাতজন, ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৭ জন নারী কাউন্সিলর ও ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৭৩ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটে লড়বেন।
ভোট সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী নজরুল ইসলাম বাবুল। তবে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে বলে দাবি হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের। বরাদ্দ প্রতীক হাতপাখা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি।