সিলেট সিটি নির্বাচন
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ১৫:৩০ পিএম
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বারবার অনুরোধ করেও কাজ না হওয়ায় ফের নিজেরাই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থীদের সাটানো পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৩১ মে) সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে নির্বাচনের প্রচারসামগ্রী অপসারণ শুরু করেছে। মোট ১৪ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর আগে গত ৫ মে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাটানো কিছু ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।
গত ৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে নগরজুড়ে প্রার্থীদের প্রচারসামগ্রী সাটানোর হিড়িক পড়ে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো হয়। এসব প্রচারসামগ্রীতে সংশ্লিষ্ট দলের নেতাদের ছবিও রয়েছে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবে না। তবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা তা আমলে নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের (২৩ মে) মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সব প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন- তারা নিজ উদ্যোগে এগুলো সরাবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করেও প্রার্থীদের সতর্ক করেছেন। তারপরও অনেকে অপসারণ করেননি। তাই প্রতীক বরাদ্দের আগে নগরীর সবকটি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের সাটানো ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন অপসারণে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৩০ মে) আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রতীকের ছবি প্রচারসহ প্রচার চালানোয় তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রার্থীকে নিজে বা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আনোয়ারুজ্জামান ও নজরুল ইসলাম কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন।
আগামী ২১ জুন নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের ১৯০টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে সাতজন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড মিলে ৩৭২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।