কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩ ১৭:০৮ পিএম
ভেঙে পড়েছে ভগপতিপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ভগপতিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি ভেঙে ব্রহ্মপুত্র নদে পড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় ক্লিনিকটি হুড়মুড় করে ভেঙে যায়।
এর আগে স্বাস্থ্যবিভাগ ক্লিনিকটি নিলামে বিক্রির চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত দরের ক্রেতা না পাওয়ায় নিলাম করতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা ভেঙে ইট বের করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ক্লিনিকটি ভেঙে পড়ে।
চরবাসীদের স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে তিন বছর আগে কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থাপন করে সরকার। ক্লিনিকের পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর ভগপতিপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভেঙে যায় এবছরই।
একটি মসজিদ ও আবাসন প্রকল্পের অর্ধশত পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে ওই এলাকার অন্তত ৪০টি পরিবার ভিটে হারিয়েছে। ভাঙন আতংকে দিন পার করছে চর ভগবতীপুরের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
মাসের শুরু থেকে কুড়িগ্রামের নদনদীগুলোর কিছুটা পানি বাড়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের অন্তত ১০টি পয়েন্টে ভাঙনের কথা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কয়েকটি স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু করেছে।
চর ভগপতিপুর এলাকার আবুল কাশেম বলেন, দুই তিন সপ্তাহ থেকে ভাঙছে। বাড়িঘর গেল। স্কুল গেল শেষে কমিউনিটি ক্রিনিকটিও গেল। আমাদের আর কিছুই থাকলো না।
যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, এগুলো আগেরই চর। সে কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন। তবে ক্লিনিকটি নিলামে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন চেয়ারম্যান।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মন্জুর-এ- মুর্শেদ বলেন, ক্লিনিকটি নিলামে বিক্রির জন্য দু’বার দরপত্র আহ্বান করা হলেও সরকার নির্ধারিত দামে কেউ নিতে আগ্রহ প্রকাশ না করায় নিলাম করা যায়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্লিনিকটি চরে নির্মাণ করা হয়েছিল। সে কারণে দ্রুত ভেঙে পড়েছে। ভাঙনের শুরুতে পরিদর্শন করে ভাঙন রোধ প্রকল্প পাঠিয়েছিলাম। বরাদ্দ বেশি লাগায় সেটা পাওয়া যায়নি।