বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৩ ২১:১৬ পিএম
আপডেট : ২৯ মে ২০২৩ ১৬:০৯ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে রবিবার মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর বান্দরবানের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ। পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও এটির সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন আর্মির (কেএনএ) অপতৎপরতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
রবিবার (২৮ মে) বান্দরবান সেনানিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন। এটির আয়োজন করে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন।
সেনাবাহিনী কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। সুবিধাবঞ্চিতের দোহাই দিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া সমাধানের পথ নয়। অস্ত্র শুধু রক্ত ঝরাতে পারে, স্বজনহারা করতে পারে। অনেক বড়-বড় সমস্যা সমাধান করতে পারে একমাত্র আলোচনা।’
পার্বত্য এলাকায় আগেও বিভিন্ন গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। আর সেসব গোষ্ঠীর উচ্চস্থানীয় নেতাদের সুবিধা হয়।’
গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘কেএনএফের হামলায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই গোষ্ঠীকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অপতৎপরতা বন্ধে স্থানীয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
সরকার বা রাষ্ট্রের প্রতি যদি কোনো নাগরিকের কোনো দাবি থাকে, তা মেনে নেওয়া সেনাবাহিনীর কাজ নয় বলে জানান বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার গোলাম মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। ন্যায্য দাবি সরকার অবশ্যই মেনে নেয়। তবে তা সময় সাপেক্ষ। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিও বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার। এটি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও স্থিতিশীল নিরাপত্তা প্রয়োজন। স্থিতিশীল নিরাপত্তা বাস্তবায়ন না হলে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। পার্বত্য জেলার প্রতি সরকারের আন্তরিকতা আছে বিধায় শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থাসহ সামগ্রিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘দেশ ও জনগণের কল্যাণ করতে চাইলে নির্দিষ্ট কোনো পেশায় থাকার প্রয়োজন হয় না। যে কেউ নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক ভাব প্রকাশ করতে পারেন।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের মেজর জিটুআই শায়েখ উজ-জামান, মেজর এএসএম মাহামুদুল হাসান, জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।