চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৭ মে ২০২৩ ১৮:৫৮ পিএম
গ্রেপ্তার সুমা আক্তার। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের চকরিয়ায় শিশু গৃহকর্মী মিফতাহ মণি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। শনিবার (২৭ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সদর থানার ঝিলংজা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সুমা আক্তার চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিয়ানপাড়া এলাকার কামাল হারুনের স্ত্রী। নিহত শিশু মিফতাহ মণি মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গায় ছৈয়দ নূরের মেয়ে। দেড় বছর আগে মহেশখালীর গোরকঘাটার সিকদার পাড়ার বাসিন্দা রশিদ বহদ্দারের মাধ্যমে ওই শিশুকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়ে যায় হারুন ও তার স্ত্রী সোমা।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম খান এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১০ মে মিফতাহ মণি নামে ওই গৃহকর্মী চকরিয়া কাকারার হাজিয়ান পাড়ার হারুনের বাড়িতে হত্যার শিকার হয়। পরে তার লাশ রাখা হয় ফ্রিজে। এরপর শিশুটির পরিবারকে জানানো হয় ডায়রিয়ার কারণে ওই গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি ওই গৃহকর্মীর পরিবারে জানাজানি হলে মহেশখালীতে তার মরদেহ এনে অ্যাম্বুলেন্সে রেখে বাড়ির মালিক হারুন ও তার স্ত্রী সুমা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিফতাহর পরিবার।
এ সময় তারা ওই শিশুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং মৃত্যুর পরবর্তী তার মরদেহ ফ্রিজে রাখার আলামত পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, শারীরিক নির্যাতন করে এই শিশু গৃহকর্মীকে হত্যা করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন হারুন ও সুমা।
এ ঘটনায় ১৬ মে নিহত শিশু মিফতাহ মণির বাবা মো. সৈয়দ নূর চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ছায়াতদন্তে নামে র্যাব। আসামিদের ধরতে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালু রাখে। কিন্তু আসামিরা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করায় এতদিন তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। শনিবার মামলার প্রধান আসামি সুমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার শামসুল আলম খান বলেন, গ্রেপ্তার সুমা হত্যার পর শিশু মিফতার লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে ডায়রিয়ায় মারা গেছে বলে প্রচার করার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, র্যাব শিশু মিফতাহ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আসামিকে রিমান্ড চাওয়া হবে।