মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১৯:৫৪ পিএম
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার (২১ মে) কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে মামলাটি করেন এক নারী। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এ অবস্থায় গত ৫ মার্চ বিকালে মামুন ওই নারীর বাড়িতে এসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে মুখে চেপে ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। সে সময় বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন ওই নেতা।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন মামুন। পরে ওই নারী তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মৌলভী ডেকে এনে সুরা পড়িয়ে তাকে বিয়ে করেছেন বলে আশ্বস্ত করায়। তবে বিয়ের কাবিনের কথা বললে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান ওই নারী।
এরপর ওই নারী গত ২১ মে মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা করেন।
অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, মামুন দীর্ঘদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবহার করে এখন অস্বীকার করছেন। যখনই তাকে আমি বিয়ের কাবিনের কথা বলেছি, তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য একটি গ্রুপ মেয়েটিকে দিয়ে মামলা করিয়েছে। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কিশোরগঞ্জ পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. শাহাদৎ হোসেন গতকাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আদালতের নির্দেশনার কাগজ এখনও পাইনি। নির্দেশনা পাওয়ার পর সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ ব্যাপারে কোনও ছাড়া দেওয়া হবে না।