বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩ ২২:৫৬ পিএম
আপডেট : ২১ মে ২০২৩ ২৩:৫৬ পিএম
বরগুনার আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে তিন মাঝিকে দশ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রবা ফটো
বরগুনার আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীতে খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে তিন মাঝিকে দশ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (২১ মে) বিকালে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এ আদেশ দেন।
আশরাফুল আলম বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিন মাঝিকে দশ দিনের দণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সময় যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়, তাদের সবাইকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- খেয়া মাঝি খলিলুর রহমান তালুকদার, সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার ও শহীদুল ইসলাম খান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এক মাস ধরে আমতলী- পুরাকাটা পায়রা নদীতে খেয়া পারাপারে ইজারাদার জাকির হোসেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। জেলা পরিষদের মূল্য তালিকায় জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও তিনি ২৫ টাকা আদায় করতেন। আবার সন্ধ্যা হলে জনপ্রতি ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করতেন। এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। পায়রা নদীর খেয়াঘাটে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আদালতের বিচারক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় খলিলুর রহমান তালুকদার, সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার ও শহীদুল ইসলাম খানকে দশ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
খেয়াঘাটের ইজারাদার জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি অনেক দূরে আছি। এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া দশ দিনের দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’