শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ২১:৪১ পিএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ২১:৪৪ পিএম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত অন্তঃসত্ত্বা নারী। প্রবা ফটো
শেরপুরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ২০ মে শনিবার সকালে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নারীকে। এর আগে গতকাল শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানো হয়।
উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়া এলাকার মিজু মিয়ার স্ত্রী ওই অন্তঃসত্ত্বা।
আর ওই স্কুল শিক্ষক ফারুক মিয়া ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন।
অন্তঃসত্ত্বার স্বামী মিজু মিয়া জানান, 'আমার পাশের বাড়ি রুবাইদুল্লার কবুতর ফারুক মাস্টারের বাড়িতে গেছিল। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ওই কবুতরগুলো নিতে ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যায়। সাথে আমাকেও নিয়ে যায়।আর রুবাইদুল্লাহ ফারুক মাস্টারের ছেলে তামিমকে বলে কবুতরগুলা আমার। পরে তামিম বলে গত ১ মাস ধরে কবুতর গুলা কোথা হতে এসেছে। এরপর ফারুক মাস্টারের স্ত্রী কবুতর দুটি তার নিজের এবং বাপের বাড়ি থেকে এনেছেন বলে দাবি করেন। এনিয়েই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
পরে ফারুক মাস্টার এসে মিজু মিয়াকে মারধর করতে থাকলে, অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী রৌশন আরা স্বামীকে বাচাঁতে গেলে ফারুক মাষ্টার রৌশন আরার পেটে লাথি দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে তাকে শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।'
মিজু মিয়া বলেন, 'আমি এই ঘটনায় বিচার চাই। আমার বউ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কেন আমার অন্তঃসত্ত্বা বউ এর পেটে লাথি দিলো ওই মাস্টার। আর আমার বউ এর অবস্থা ভালো না। চিকিৎসক শ্রীবরদী হাসপাতাল থেকে শেরপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। '
থানায় অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা সবাই হাসপাতালে আমার বউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে পারি নাই। আজ থানায় অভিযোগ দিবো।'
এ বিষয়ে জানতে ফারুক মাষ্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এসময় স্বামী কাছে নেই দাবি করে তার স্ত্রী মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী এ কাজ করেনি।
এব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন বলেন, 'রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসক দেয়া হবে।'
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।