রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১৯:৩১ পিএম
আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ১৯:৪৩ পিএম
শনিবার বাঘা উপজেলায় তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলা। প্রবা ফটো
চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলা থেকে ৭২০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের তিনটি জেলা থেকে আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানান মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, ’আম রপ্তানির ক্ষেত্রে গুড অ্যাগরিকালচার প্র্যাকটিস (জিএপি) বা ভালো কৃষি অনুশীলনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিএপি অনুসরণ করে মানসম্মত আম উৎপাদন না করলে বিদেশিরা আম নেবে না। নতুন প্রযুক্তি, সরকারের সহযোগিতা ও উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টায় আমসহ কৃষিপণ্য উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি করা সম্ভব।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, ’আগামী মঙ্গলবার (২৩ মে) কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আম রপ্তানি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। রাজশাহীর পাশাপাশি সাতক্ষীরা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী জেলা থেকে এবার আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৭২০ মেট্রিক টন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তানোর, মোহনপুর ও দুর্গাপুরের বেশ কিছু বাগানমালিকের সঙ্গে আম রপ্তানির জন্য চুক্তি করেছি। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে বাঘা থেকেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবার প্রচুর আম রপ্তানি হবে।’
এদিকে বাঘা-চারঘাটের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘শুধু বাঘা উপজেলা থেকেই আমরা ২০০ মেট্রিক টনের বেশি আম রপ্তানি করতে পারব। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাঘার আমের প্রথম চালান ইতালিতে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি আম রপ্তানি হবে। আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের আমের চাহিদা রয়েছে বাইরের দেশে। আম রপ্তানিতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।’
তিনি আরও বলেন, ’ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের আম আসছে। এগুলোর নাম নির্ধারণে সতর্ক হতে হবে। নিয়ম মেনে চাষাবাদ করলে আমের ফলন তিনগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
শনিবার বাঘা উপজেলায় তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলায় এসে শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন। মেলায় বিভিন্ন জাতের আম নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মেলার বিভিন্ন স্টলে চুরুশা, আনরসি, মল্লিকা, বঙ্গবাসী, বৈশাখী, ভাদরী, আগেল গুটি, হাতিঝোলা, চাপড়া, অনামিকা, খাজাগুটি, আড়াজাম, বাবুইঝুকিসহ অনেক জাতের আম প্রদর্শিত হয়।