× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মোরেলগঞ্জে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত ৩৫ হাজার গরু, মারা গেছে ১৩৫টি

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম

আপডেট : ২০ মে ২০২৩ ১৮:৩২ পিএম

লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগে আক্রান্ত একটি গরু। প্রবা ফটো

লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগে আক্রান্ত একটি গরু। প্রবা ফটো

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ৩০টি গরুর খামারে লাম্পি স্কিন ডিজিজ বা এলএসডি রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার গরু। মারা গেছে ১৩৫টি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লাখ টাকারও বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ না থাকায় দিন দিন গরু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। উপজেলাজুড়ে ১০ হাজার ডোজ গোটপক্স ভ্যাকসিনের চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাসে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৫০ ডোজ ভ্যাকসিন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ রোগের কোনো ওষুধ নেই। তবে গোটপক্স বা ছাগলের পক্স রোগের ওষুধ গরুর শরীরে প্রয়োগ করে গরু বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। সে ওষুধেরও সরবরাহ নেই। এ অবস্থায় লাম্পি স্কিন রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে গরুর মালিক, কৃষকসহ খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর অফিস জানিয়েছে, উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার গবাদিপশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৭৫ থেকে ৮০ হাজার। ছাগল রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। ছাগলের পক্স রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন ভাইরাক্সের সঙ্গে আরও কিছু ওষুধ প্রয়োগ করে লাম্পি স্কিন রোগ থেকে গরু বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।

পল্লীমঙ্গল গ্রামের সুজন হালদার বলেন, ’আমার দুটি গরু আক্রান্ত হলেও ভ্যাকসিন দিতে পারিনি। প্রতিটি গ্রামেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রাণিসম্পদ অফিসে এলেও ওষুধ না পেয়ে সবাই ফিরছেন খালি হাতে।’

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ইউনুছ আলী বলেন, ’ভাইরাসজনিত চর্মরোগ এলএসডি মশা, মাছি থেকে বেশি ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গরুর সংস্পর্শে থাকলে অন্য গরুও আক্রান্ত হবে। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। আপাতত ছাগলের পক্স রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত ভাইরাক্স ওষুধটি গরুর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃষ্টি না থাকায় এবং অতিরিক্ত গরমে এ রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ’মোরেলগঞ্জে মোট গরুর ৪৫ শতাংশ বা প্রায় ৩৫ হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার ২-১ দিনের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে না পারলে গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন না থাকায় চিকিৎসাও করা যাচ্ছে না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা