কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩ ১৩:৫০ পিএম
সংযোগ সড়কের অভাবে অকেজো হয়ে আছে কালিয়াকৈর উপজেলার বাজ-হিজলতলী ও বামন্ধ গ্রামের মধ্যবর্তী সোনাখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। প্রবা ফটো
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাজ-হিজলতলী ও বামন্ধ গ্রামের মধ্যবর্তী সোনাখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক নেই। পুরোনো সড়ক বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। পরে আর তা নির্মাণ করা হয়নি। এতে সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হলেও সড়ক নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সোনাখালী সেতু থেকে বাজ-হিজলতলী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পর্যন্ত সড়কটি শত বছরের পুরোনো। সড়কটি ব্যবহার করে বাজ-হিজলতলী, বামন্ধ, নয়ানগর, টেংলাবাড়ী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কটি দিয়ে রিকশা, টমটম, নছিমন, সিএনজিসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করত। সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরের বন্যায় সেতুটির পশ্চিম পাশের মাটি ধসে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বিগত বছরের বন্যার পানিতে সড়কটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়।
তারা আরও জানান, এতে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলা সদরে যেতে চাইলে তাদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তারা সময়মতো কর্মস্থলে যেতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া, কৃষকের উৎপাদিত ফসল ও শাকসবজি, খামারির হাঁস-মুরগি বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রসূতি নারী, শিশু, প্রবীণ ও তাদের স্বজনদের। তাই সংযোগ সড়কটি দ্রুত নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুর একপাশের সড়কের একবারেই মাটি নেই। সেতু দিয়ে পার হওয়ার কোনো উপায় নেই। খালে কয়েক ফিট পানি, তাতে কচুরিপানায় ভর্তি। ফলে নৌকা কিংবা ভেলা দিয়ে পারাপার হওয়া যায় না। তাই সড়ক কিংবা সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেখানে কথা হয় অর্জুন বর্মণ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর থেকে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত একবারেই বন্ধ রয়েছে। এতটুকু সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি নির্মাণ করলে দুর্ভোগ লাঘব হবে। তাই দ্রুত এটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিবর রহমান বলেন, ‘এলাকাবাসী ওই সড়কটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করত। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কটি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে চার গ্রামের মানুষের যাতায়াত করতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিষয়টি অবগত আছি। সম্প্রতি সড়ক নির্মাণের অনুমোদন হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও সেতু সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।’