× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

‘নতুন করে জীবন সাজামো’

শেরপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম

নতুন ঘরের সামনে সন্তান কোলে জানমণি মারাক। প্রবা ফটো

নতুন ঘরের সামনে সন্তান কোলে জানমণি মারাক। প্রবা ফটো

এক সন্তানের জননী জানমণি মারাক। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার হারিয়াকোনা গ্রামে অন্যের বাড়িতে কোনোমতে ঘর বানিয়ে থাকতেন। বৃষ্টি এলেই সেই ঘরে পানি পড়ত। রাতে ঘুমাতে পারতেন না। এ ছাড়া নানান সময় নানা কথাবার্তা শুনতে হতো বাড়ির মালিকের।

সম্প্রতি তিনি মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর পেয়েছেন। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘এহন সরকার আমারে এডা পাকা দালান ঘর দিছে, বিরাট উপকার অইছে (হয়েছে)। নতুন ঘরে নতুন করে জীবন সাজামো।’ 

শুধু জানমণি মারাকই নয়, শেরপুরের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠেীর ৮৫ পরিবার নতুন করে তাদের জীবন সাজাতে পারবে। তারাও পেয়েছে মুজিববর্ষের উপহারের ঘর। সুবিধাভোগীরা জানান, একটা সময় পাহাড়ি টিলায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করলেও এখন পাল্টে গেছে সেই চিত্র। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা। ঘর ও তাদের ছেলেমেয়ে যারা পড়াশোনা করে তাদের বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ফলে নৃগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। 

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, তিন দফায় জেলায় মোট ৮৫টি নৃগোষ্ঠীর পরিবার পেয়েছে দুই শতক জমিসহ বাড়ির মালিকানা। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫টি, নকলা ১০টি, নালিতাবাড়ী ৪০টি, ঝিনাইগাতী ১০টি ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ১৯৫টি বাইসাইকেল ও ১ হাজার ৩৮০ জনকে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাবৃত্তি।

জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নৃগোষ্ঠী এসব মানুষের বেশিরভাগ কৃষি ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা চালান।

শ্রীবরদী উপজেলার হারিয়াকোনা এলাকায় গিয়ে জানা যায়, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় এখানে প্রাকৃতিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। নিজেদের জায়গা জমি না থাকায় ভাঙাচোরা বসতঘরে কষ্ট করে থাকতে হতো তাদের। দিনমজুর এ মানুষগুলোর বসবাসের জন্য বাড়ি তৈরি ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে সরকার। জীবনমান উন্নয়নে দিয়েছে মুজিববর্ষের পাকা ঘর।

পঞ্চাশ বছর বয়সি লেফেন্দ্র মারাক। দুটি চোখেই নেই আলো। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি জানান, স্ত্রী বনজঙ্গলে লাকড়ি কুড়িয়ে ও অন্যের বাড়িতে শ্রম বিক্রি করে যে সামান্য টাকা জোগাড় করত, তা দিয়েই কোনোমতে চলত সংসার। তবে ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই। অন্যের জমিতে কাগজ দিয়ে ছোট্ট ডেরা বানিয়ে খুব কষ্টে থাকত এই দম্পতি। এখন নিজের পাকা ঘর হয়েছে। ঝড় বৃষ্টিতে আর ভিজতে হবে না, খুশিতে যেন আত্মহারা। 

দালান ঘর পেয়ে খুশি জোসীলা ম্রং। তিনি বলেন, ‘এহন আর অন্যের জমিতে থাহন লাগত না। তেরাকতাও (কটুকথা) আর হুনতে (শুনতে) অইতো না। নিজের পাহা (পাকা) ঘর আছে। শেখ হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদ আমারে পাহা ঘর দিবার লাইগ্যা।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা