গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩ ১৮:১৮ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩ ১৮:৪০ পিএম
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
বোনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার ক্ষোভে তার চার বছরের ভাই বায়েজিদকে নৃশংসভাবে হত্যা করে প্রেমিক সাকিব হাসান ওরফে রোমান। গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে শিশুটির গলিত মরদেহ উদ্ধারের তিন দিন পর মঙ্গলবার (১৬ মে) এমন তথ্য জানালেন জেলা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন। এ দিন দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে রোমান দাবি করেছে, নিহত শিশু বায়েজিদের বোনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর মেয়েটি রোমানের কাছ থেকে দূরে থাকে এবং একপর্যায়ে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। পরে পরিবার মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোমান এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ’বর্তমানে আমরা তদন্তের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছি। আরও তদন্ত শেষে আশা করি বিস্তারিত জানানো যাবে।’
গত ৮ মে বিকালে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের বাড়ির উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় শিশু বায়েজিদ। স্বজনরা তাকে নানা স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে হরিনাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে অবহিত করে। পরদিনও না পেয়ে মনোহরপুরসহ আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে শিশুটির পরিবার। তাতেও সন্ধান না মেলায় পরদিন ৯ মে পলাশবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বায়েজিদের মা রায়হানা বেগম। পরদিন তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা করেন। তার পরদিন শনিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়রা দেখতে পান একই এলাকার একটি ধানক্ষেতে শিশু বায়েজিদের মস্তকবিহীন মরদেহ। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এলাকার সাকিব হাসান ওরফে রোমান ও শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে রোমান পুলিশের কাছে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।