সিলেট সিটি নির্বাচন
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩ ০০:২৬ এএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩ ১৩:০৭ পিএম
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ফাইল ছবি
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে দলের নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়েছে মহানগর বিএনপি। ২১ জুনের নির্বাচনে অংশ না নিতে মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে দলের চূড়ান্ত আন্দোলনের সময়ে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করি আপনারা এই পাতানো নির্বাচন থেকে বিরত থাকবেন।’ চিঠিতে এই নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ইতঃপূর্বে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি সব ধরনের নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিকের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সোমবার (১৫ মে) মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৩ মে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেবেন না। কাউকে সহযোগিতা বা প্রচারেও অংশ নেবেন না।
চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় থেকে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণমানুষের রাজনৈতিক অধিকারসহ সরকারের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারান্তরিন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজায় দেশান্তরী। এই অবৈধ সরকারের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে বিএনপি যখন সর্বাত্মকভাবে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই শেখ হাসিনা সরকার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য এই পাতানো নির্বাচনে দলের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন, কোনো ধরনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড করতে পারবেন না। যদি এই পাতানো নির্বাচনে দলের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন বা নির্বাচনী কাজে লিপ্ত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার রাতে ঢাকায় গিয়ে ভার্চুয়ালি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন সিলেট মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় সিটি নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার মেয়র আরিফও ঢাকায় যান এবং সেখানে তিনিও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে জানা গেছে। ২০ মে জনসভা করে আরিফ নির্বাচনের বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরার কথা বললেও তাকে দল থেকে নানাভাবে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে।