সিরাজগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩ ১৭:৪০ পিএম
আপডেট : ১১ মে ২০২৩ ১৮:০৭ পিএম
গ্রেপ্তার যুবক ছাবেন আলী। ছবি : সংগৃহীত
১৩ বছর বয়সি কিশোরী সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার একমাত্র আসামি ৩২ বছরের ছাবেন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, কিশোরী সুমাইয়া ধর্ষণের বিষয়টি সবাইকে বলে দিতে চাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ছাবেন আলী।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন ছাবেন আলী।
তিনি বলেন, ’বুধবার রাতে নিহত সুমাইয়ার বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ছাবেন আলীকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। ছাবেন আলী তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত মহল্লার পশ্চিম পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে। পেশায় এক্সেভেটরচালক ছাবেন আলী বিবাহিত। তার বিরুদ্ধে জুয়া ও মাদক সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে।’
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া ও তার ছোট ভাইকে রেখে কয়েক বছর আগে তাদের মাকে তালাক দেন বাবা বেলাল হোসেন। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। সুমাইয়া ভাইকে নিয়ে কোহিত মহল্লায় দাদির বাড়িতে থাকত। অন্যের বাড়িতে কাজ করে অভিভাবকহীন সুমাইয়া ও তার ভাইকে লালন-পালন করছিলেন দাদি বেগম খাতুন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরে আলম বলেন, ‘সুন্দরী কিশোরী সুমাইয়াকে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্ষণের সুযোগ খুঁজছিল ছাবেন আলী। মঙ্গলবার দুপুরে বৃদ্ধ দাদি তাকে বাড়িতে একা রেখে মাঠে ছাগল চড়াতে যান। এ সুযোগে ছাবেন আলী সুমাইয়ার ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন। সুমাইয়া বাধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহৃও রয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করতে চাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান ছাবেন আলী।’
মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কোহিত মহল্লার দিঘিপাড়ার বাড়ি থেকে কিশোরী সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে তাকে ধর্ষণের আলামত পায় পুলিশ। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই রাতেই সন্দেহজনক ছাবেন আলীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানায় পুলিশ।