বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৩ ১৮:৫২ পিএম
আপডেট : ০৯ মে ২০২৩ ২০:৫৯ পিএম
মুগ ডালের জমিতে কাজ করছে শ্রমিকরা। প্রবা ফটো
বরগুনার আমতলী উপজেলায় মুগ ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকটে ক্ষেতের মুগডাল ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্য, আমতলীর অধিকাংশ কৃষকই পূর্বে আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু অল্প সময়ে অধিক লাভের কারণে এখন তারা আমনের পাশাপাশি বোরো ধান, তরমুজ, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও মুগডাল চাষ করছেন। তবে ক্ষেত থেকে ডাল তোলায় শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমে তরমুজের পরে এখানকার বেশিরভাগ জমিতেই মুগ ডালের আবাদ হয়। অপেক্ষাকৃত কম শ্রম লাগার কারণে কৃষকরা এ ফসলটি উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছেন। এ মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে এবং অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার ফলনও ভালো হয়েছে।
আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী গ্রামের কৃষক হানিফ হাওলাদার বলেন, এ বছর মুগ ডালের ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সঙ্কটের কারণে ঘরে তুলতেই অর্ধেক ডাল দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এতে আমাদের লোকসান হচ্ছে।
সোনাখালী গ্রামের কলি আক্তার নামের এক নারী শ্রমিক বলেন, প্রচুর রোদ আর পিপাসায় ক্লান্ত হয়ে পড়ি। আমরা একসাথে ৫ থেকে ৬ জন করে কৃষকের ডাল অর্ধেক ভাগে তুলে দেই। এতে আমাদের এ মৌসুমে বাড়তি কিছু আয় হয়।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ডালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি ১ হাজার ২০০ কেজি থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজি ডালের ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষকদের ডাল তুলতে সমস্যা হচ্ছে। কৃষকদের যতটা দ্রুত সম্ভব ডাল তুলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ দুর্যোগময় আবহাওয়া হলে তাদের সমস্যা আরও বাড়বে।