প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩ ১৭:৫১ পিএম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৩ ১৮:২৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীতে ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলার ব্যাখ্যা দিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মে তাদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে ওই গাছগুলো কাটা হয়েছিল। এ বিষয়ে রবিবার (৭ মে) বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট শেখ মো. সোহেল রানা।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য নজিবপুরে ২৫ বছরের পুরনো ৩০টি তালগাছ ভেকু মেশিন দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির অনুমোদন ছাড়া সড়কের পাশে বন বিভাগের রোপণকৃত বিভিন্ন প্রজাতির বেশকিছু গাছের চারা কেটে ফেলা হয়েছে। এতে করে বজ্রপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধিসহ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলজিইডির জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় নজিবপুর গ্রামে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ ফুট প্রস্থ মাটির সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেছে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ। এটি করতে গিয়েই তালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছের চারা কাটা হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জমির মালিকদের সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়নি।
মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, এলজিইডির দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ ফুট প্রস্থ সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের জন্য গাছগুলো কাটতে হয়েছে। এ ছাড়া তালগাছগুলো যাদের বাড়ির সামনে পড়েছে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, তালগাছ বজ্রঝুঁকি রোধে অধিক কার্যকর। এ মৌসুমে কালবৈশাখী ঝড় বেশি হয়। তাই তালগাছ না কেটে আরও রোপণ করা উচিত। যে অঞ্চলে তালগাছ বেশি থাকে, সে অঞ্চলে বজ্রপাত হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।