হবিগঞ্জে পতিত জমিতে তরমুজ চাষ
হবিগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩ ১৩:৪৮ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৩ ১৪:১৫ পিএম
হবিগঞ্জের পতিত জমিতে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রবা ফটো
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তিনগুণ বেশি তরমুজের আবাদ হয়েছে এই উপজেলায়। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অধিক ফলন পেয়ে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে ১০ বিঘা পতিত জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন কৃষক ফারুক মোল্লা। বর্তমানে বিক্রির যোগ্য হয়েছে তার জমির তরমুজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৫ জন শ্রমিক ক্ষেত থেকে তরমুজ তোলার কাজ করছেন। সেখান থেকেই পাইকারি দরে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন জেলার ব্যবসায়ীরা।
তরমুজ চাষি ফারুক মোল্লা বলেন, '১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে অন্তত ৩ লাখ টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় কমপক্ষে এবার ৭ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারব।'
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ সাইদুর রহমান বলেন, ‘জেসিড পোকা ও মাছি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হলুদ ফাঁদ ও বিষ টোপ ব্যবহার করে এই দুই ধরনের পোকা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে চাষির খরচ কম হয়েছে। অন্যদিকে রাসায়নিক সারের ব্যবহার না করায় উৎপাদনও বেড়েছে। আগামী বছর এলাকায় তরমুজ চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পতিত জমিতে উচ্চমূল্যের ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল আবাদে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। এটি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া কারিগরি সহায়তা তরমুজের বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর চুনারুঘাট উপজেলায় ১৬৫ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১২৮ বিঘা বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখান থেকে ১ হাজার ৫০ টন তরমুজ উৎপাদন সম্ভব হবে।