গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩ ১১:৫৮ এএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৩ ১২:২০ পিএম
ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের ফলনে খুশি কৃষকরা। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের উদ্যোগে সোমবার (১ মে) ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ব্রি ৮৯, ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফসল কাটার পর দেখা গেছে, নতুন এই প্রজাতির ধানের ফলন হয়েছে প্রতি শতকে এক মণ করে। এই অভূতপূর্ব ফলন পেয়ে খুশি কৃষকেরা।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে এই তিন জাতের নতুন ধান চাষ করে কৃষকেরা। ৩৩ শতকে ফলন পেয়েছেন ৩৩ মণ অর্থাৎ শতকে এক মণ ফলন হয়েছে।
ব্রি পরিচালক প্রশাসন আব্দুল লতিফ জানান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো আগের জাত ব্রি ২৮ ও ২৯ এর তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়। এগুলো যদি ভালো পরিচর্যা করা যায়, তাহলে আরও বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এখন পুরনো জাতগুলো বাদ দিয়ে নতুন জাতের ধান ব্রি ৮৯, ব্রি ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ চাষ করতে হবে।
কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আগে বিদেশে ছিলাম কৃষি কাজ করতাম না। কৃষি কাজ অলাভজনক ভাবতাম, কিন্তু ব্রি ৮৯ ও ব্রি ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর বিদেশ নয়, দেশেই কৃষি কাজ করব। নতুন জাতের ধান চাষ করব। কেননা কৃষি এখন আগের তুলনায় বেশি লাভজনক।’
কালীগঞ্জের বালোয়াবিটা গ্রামের কৃষক আমানুল্লাহ বলেন, ‘বাম্পার ফলন হয়েছে। আমার জীবনে আমি এতো ফলন দেখি নাই। কীটনাশক ও সারও কম লাগে। খেতে পানিও কম লাগে। এক কথায় ফলনে আমরা সব কৃষক অনেক খুশি।’
ব্রি মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের জনসংখ্যার সঙ্গে ২০ থেকে ২২ লাখ লোক যোগ হচ্ছে। ১৭ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হলে অবশ্যই ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানগুলো চাষ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কেননা এটার উৎপাদন খরচ কম, চাল ভালো, উৎপাদন বেশি।’