পৌর প্রতিবেদেক, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ২১:০৭ পিএম
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ২২:২৬ পিএম
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সড়ক উন্নয়নকাজের নামে অন্তত ৩০টি তালগাছ কেটেছেন মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী। প্রবা ফটো
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সড়ক উন্নয়নকাজের নামে অন্তত ৩০টি তালগাছ কেটেছেন মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী। গাছগুলো প্রায় ২৫ বছরের পুরোনো বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা বন ও পরিবেশ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই সড়কের পাশের তালগাছসহ বন বিভগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কেটে ফেলা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে কয়েক দিন ধরে এ গাছ কাটা হলেও ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে গ্রামরক্ষার এই সবুজ দেয়াল বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জানা যায়, এলজিইডির জলবায়ুসহিষ্ণু গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় মহিপুর ইউনিয়নের নজিরপুর গ্রামে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফুট প্রস্থ মাটির সড়ক সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করছেন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলু গাজী। এ কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে তালগাছগুলোসহ বন বিভাগের বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু গাছের চারা কেটেছেন। এতে মাটির সড়ক সংস্কারকাজ ত্বরান্বিত হলেও পরিবেশ ও প্রতিবেশ হুমকির কবলে পড়ার আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে নজিরপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুস, আবদুল বারেক ও সোহাগ হাওলাদার জানান, গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সড়ক সংস্কার হচ্ছে। সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটার কথা থাকলেও ব্যক্তি মালিকানার জমি থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে। জমির মালিকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়নি।
তারা আরও জানান, সড়কের পাশের কিছু তালগাছ এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়েও উপড়ে ফেলা হয়েছে। সড়কের পাশে যারা এ গাছ রোপণ করেছেন, তারা চেয়ারম্যানের ভয়ে মুখ না খুললেও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মহিপুর ইউনিয়নের সিরাজ মেম্বার সড়ক সংস্কারকাজ করতে বন বিভাগের সৃজিত গাছ কাটার অনুমতির জন্য একটি আবেদন করেছেন। যার অনুমতির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি সাপেক্ষে গাছ নিলাম দিয়ে বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার পর গাছ কাটার নিয়ম। এর ব্যত্যয় হলে বন আইনে মামলা দেওয়া হবে।’
উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ণ জানান, সড়ক সংস্কারের জন্য চেয়ারম্যানকে গাছ কাটতে বলা হয়নি। কোনো গাছ কেটে থাকলে দায় তার।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে সড়কের গাছ কাটার যে নিয়ম তার ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, ’সড়ক সংস্কারের জন্য কয়েকটি তালগাছ কাটতে হয়েছে। তা ছাড়া গাছগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে লাগানো হয়েছিল।’