গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২০ পিএম
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৩৪ পিএম
মৃত মুজাহিদ হাওলাদার। প্রবা ফটো
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র মুজাহিদ হাওলাদার ১২ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা গেছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর সংবাদে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মুজাহিদ হাওলাদার উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কুরপালা গ্রামের বাসিন্দা ও মেধাসিঁড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে কুরপালা গ্রামের হাওলাদার বংশের সঙ্গে শেখ বংশের বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে, ৮ এপ্রিল একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হারুন হাওলাদারের ছেলে ওয়ালিদ হাওলাদারের সঙ্গে কালাম শেখ ও তরিকুল শেখের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তরিকুলের লোকজন মুজাহিদকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মুজাহিদ গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুজাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবা সেকেন্দার হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়ি নিয়ে আসি। বাড়িতে আনার পর মুজাহিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন বলেন, ‘একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আমার চাচাতো ভাই মুজাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন আমার বাবা এলাকায় ছিলেন না, তার পরও আমার বাবাকে প্রধান আসামি করে প্রতিপক্ষ মামলা করেছে। আমার বাবাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’